নতুন ভালোবাসার গল্প|bangla love story shayari | romantic love story bangla
একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প
love story bangla www.birthday-bangla-sms.blogspot.com |
নতুন ভালোবাসার গল্প
সকালবেলা সুনন্দার ফোনে রাতুলের ঘুম ভাঙল। romantic love story bangla রাতুল, সুনন্দা,সুমন, রাজেশ চারজন ছোট বেলার বন্ধু। যাই হোক সুনন্দা ফোন দিয়ে বলল ব্যাচ ২০০৩ পূণর্মিলন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে যাতে আবার সবাই সেই ছোটবেলার মুহূর্ত গুলো একদিনের জন্য হলেও ফিরে পায়। সেইটা জানাতেই ফোন দিয়েছিল সুনন্দা। সুনন্দাকে রাতুল বোন বলে ডাকত আর সুনন্দাও রাতুলকে ভাই বলতো। ছোট্টবেলার গভীর বন্ধুত্ব কিনা!!love story bangla ২৩ এপ্রিল পুণর্মিলনি অনুষ্ঠান আজকে ২০ তারিখ। ২২ তারিখ রাতে বের হল রাতুল। বের হওয়ার পর অনেকটাই উচ্ছ্বাসিত ছিল রাতুল।আরো পড়ুন
*ভালোবাসার গল্প শেষ চিঠি
love story bangla নতুন ভালোবাসার গল্প
তার মনে বার বার স্মৃতি হয়ে ফিরে আসছিল সেই একসাথে স্কুলে কাটানো মুহূর্ত গুলো। রাতুল সুনন্দা রাজেশ আর সুমন একবার চুপি চুপি স্কুল ফাকি দিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল। তারা অনেকবারই গিয়েছে কিন্তু সেইবারই প্রথম আর শেষবারের মতো ধরা খেয়েছিল। আর তারপর যা মারটা খেয়েছিল। তারপর বাবা-মা কেও ডেকেছিল হেডস্যার। সেটাই এই স্মৃতিটুকুকে মনে করিয়ে রেখেছে।valobasar golpo banglaসেইসময়ের এটা দুঃখের স্মৃতি হলেও আজকে এটা ভাবতেও যেন কেমন একটা সুখ অনুভূত হচ্ছিল রাতুলের। এইসব পুরোনো স্মৃতি কথা মনে মনে করতে করতে পৌছে গেল গোয়ালন্দ রেল স্টেশনে। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে হোটেলে যাবে। যাওয়ার পথে তার স্কুল। স্কুল দেখে আবার সেই স্মৃতি গুলো যেন আরো বেশি করে তাড়া করছিল। রাতুল রিকশা থামিয়ে নামে। রিকশা থেকে নামার পর স্কুলের মাঠে ঢুকতে যায়। কিন্তু দারোয়ান বাধা দেয়। দারোয়ানের সাথে রাতুলের অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। দারোয়ান আংকেল রাতুলকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতো তাই রাতুল তাকে কাকু বলে ডাকতো আর খুব ভালো সম্পর্কও ছিল। কিন্তু হঠাত করে দেখায় দারোয়ান তাকে চিনতে পারেনি তাই ঢুকতে বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাত রাতুল বলে উঠল valobashar koster golpo bangla
“এপার আমি ওইপারে তুই
এখন যে দুইপারে ফাকা আমি আছি সুই”।
love story bangla
নতুন ভালোবাসার গল্প
এটা শুনে দারোয়ান বলে উঠল কোথায় যেন শুনেছি সে একটু valobasar golpo ভাবার পর বলে উঠল “রাতুল?” তারপর দুইজন দুইজনকে জরিয়ে ধরল। আসলে ছোটবেলায় যখন সিনেমা দেখে স্কুল যেত যদি স্কুলের সামনে ফাকা থাকতো তখন দারোয়ান আঙ্কেল এটা বলে জানাত যে স্কুলে এখন ঢুকলে কেউ দেখতে পাবেনা। এটা বলার কারণ ছিল কেউ যেন বুঝতে না পারে। যাইহোক অনেক গল্প আড্ডা দেওয়ার পর আবার সেই পুরোনো ক্লাস রুম কিছু সময় বসল, মাঠে ঘুরল, মাঠের সেই আম গাছটা আজো আছে। একটা আম পেড়ে দুইজনে বারান্দায় বসে খেল। তারপর সন্ধ্যার কিছু আগে দারোয়ানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাতুল চলে আসে তার হোটেলে। সন্ধ্যায় তাদের অনুষ্ঠান। তাই একটু আগেই আসল অনেক সময় জার্নি করে এসেছে একটু রেস্ট তো নিতে হবে। যাইহোক সন্ধ্যায় রাতুল অনুষ্ঠানে গেল গিয়ে অনেক দিন পর সবার সাথে দেখা। প্রায় কাঁদো কাঁদো চেহারা সবার। valobashar koster golpo banglaromantic love story bangla www.birthday-bangla-sms.blogspot.com |
love story bangla নতুন ভালোবাসার গল্প
বিশেষ করে সুনন্দা, রাজেশ আর সুমনকে দেখে। একে ওপরের সাথে সবাই কুশল বিনিময় করে সবই সেই স্কুল লাইফের আড্ডায় ফিরে গেল। মানে কার লাভ স্টোরি সফল হল, কে ছ্যাকা খেয়েছে এইসব নিয়ে যত আলাপ। এরপর হঠাত করেই নন্দীনির কথা উঠল। রাজেশ জিজ্ঞেস করল সুনন্দাকে নন্দীনি আসবেনা? রাতুল এক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল। সুনন্দা রাজেশের দিকে তাকিয়ে কি একট ইশারা করলো আর বলল আসবেনা কাজে নাকি আটকে গেছে। এইকথা বলতে না বলতেই নন্দিনির ফোন সুনন্দার ফোনে। ফোন রেখে সুনন্দা একটূ হেসে বলল নন্দীনি এসেছে হোটেলের বাইরে আছে। আমি নিয়ে আসছি বলে সুনন্দা চলে গেল। নন্দীনি সিঙ্গাপুর থাকে ওর হাজবেন্ডের সাথে। একটা মেয়েও আছে অনেক কিউট। যাইহোক রাতুল বন্ধুদের সাথে দুই একটা কথা বলে কিছুটা দূরে গিয়ে কিছু একটা ভাবতে ভাবতে সিগারেট খাচ্ছিল। এইদিকে নন্দীনিকে নিয়েও সুনন্দা চলে এসেছে। এসে রাজেশ সুমনের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর হঠাত একটু ইতস্তত করে রাতুলের কথা জিজ্ঞেস করল।
আরো পড়ুন
*ভালোবাসার গল্প শেষ চিঠি
valobasar golpo bangla নন্দীনিঃ ইয়ে মানে রাতুল আসেনি?
সুনন্দাঃ হ্যা এখানেই তো ছিল। কিরে সুমন কোথায় গেল? নাকি ছোটবেলার মতো এখনও নন্দীনিকে দেখে ভয় পেয়ে পালিয়েছে।
বলে সবাই এক গাল হাসল এরপর সুমন নন্দীনিকে দেখিয়ে দিল যে ওইদিকে আছে।
নন্দীনিঃ এক্সকিউজমি, আমি একটু কথা বলে আসি।
নন্দীনি রাতুলের দিকে এগিয়ে গেল। রাতুল নন্দীনিকে দেখে সিগারেট ফেলে দিল। এরপর মাথা নিচু করে তাকিয়ে আছে।
নন্দীনিঃ কেমন আছো? romantic love story bangla
রাতুলঃ ভালো
নন্দীনিঃএইখানে একা কি করছো? সবাই ঐখানে চলো ঐখানে সবাই মিলে আড্ডা দিই।
রাতুলঃ হ্যা।
বলে দুইজনে আবার সেই টেবিলে বসল। সবাই মিলে আবার ফিরে গেল সেই ছোটবেলার আড্ডায়। একটু পর খাবার আসলো রাতুল নন্দীনি খাওয়ার সময় একে ওপরের দিকে বারবার তাকাচ্ছিল। সেটা দেখে সুনন্দা রাজেশ আর সুমনকে বলছিল তোরা রাতুলকে অন্য জায়গায় নিয়ে যা। আবার না ছোট বেলায় ফিরে যায়। সুমন বলল আরে কিচ্ছু হবেনা। পরের কাহিনি বলার আগে আপনাদের ছোটবেলার কাহিনিটা বলে নিই। love story bangla
রাতুল রাজেশ সুমন সুনন্দা আর নন্দীনি একই স্কুলে পড়ত। রাতুল রাজেশ সুমন সুনন্দা এদের চারজনের ছিল গলায় গলায় ভাব। আর সুনন্দার সাথে নন্দীনির ভালো বন্ধুত্ব ছিল। রাতুল নন্দীনিকে প্রথম দেখার পর থেকেই মাঝে মাঝেই হা করে ক্লাসে নন্দিনির দিকে তাকিয়ে থাকতো। নন্দীনি প্রথমে একটু বিরক্ত হলেও রাতুলের চখের দিকে তাকিয়ে নন্দীনিও রাতুলের প্রেমে পড়ে যায়। কারণ চোখ যে মনের কথা বলে। আর নিষ্পাপ চোখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে যে কেউ প্রেমে পড়ে যেতে বাধ্য। যাইহোক দুইজন দুইজনকে পছন্দ করে। কিন্তু নন্দীনিভাবে সে মেয়ে হয়ে কি করে একটা ছেলেকে মনের কথা বলবে। তাই সে অপেক্ষা করতে থাকে। কবে তাকে রাতুল তার মনের কথা বলবে। এর মধ্যে হঠাত একদিন নন্দীনি স্কুলে আসেনা। তখন সুনন্দাকে রাতুল জিজ্ঞেস করে কেন আসছেনা নন্দীনি।সুনন্দা বলে সে জানেনা। এইভাবে ৩ দিন যখন আসলোনা। তখন রাতুল সুনন্দাকে নিয়ে নন্দীনির বাড়ীতে যায় নন্দীনির খোজ নিতে। গিয়ে জানতে পারে নন্দীনি অসুস্থ। সুনন্দা নন্দীনিকে রাতুলের কথা বলে সে স্কুলে না যাওয়ায় রাতুল কারো সাথে কথা বলতোনা ঠিক মতো আর আজকে সেই জোর করে তাকে এখানে এনেছে। এইসব শুনে নন্দীনি কনফার্ম হয় যে সত্যিই রাতুল তাকে ভালোবাসে। সুনন্দা রাতুলকে বলে নন্দীনি অসুস্থ। রাতুল সেইবার প্রথম নন্দীনির জন্য উপোস রেখেছিল। যদিও সে ধর্ম কর্মের ব্যাপারে উদাসীন ছিল। তারপর কোনো এক অজানা বিশ্বাস নিয়ে সে উপোস ছিল। তার উপোস থাকার উদ্দেশ্য একটাই ছিল নন্দীনি যেন সুস্থ হয়ে কালকে স্কুলে আসে। নন্দীনি সুস্থ হলোনা সত্যি কিন্ত পরের দিন সে স্কুলে এসেছিল ঠিকি। স্কুলে গিয়ে ক্লাস শুরুর আগে নন্দীনি রাতুলকে ডাকে রাতুল নন্দীনির কাছে যায়। valobasar golpo কিন্তু রাতুল কেন যেন নন্দীনির সামনে গিয়ে কাপছিল। নন্দীনি হাসিমুখে রাতুলকে জিজ্ঞেস করে তুমি কি কিছু বলবে? রাতুল কাঁপা কাঁপা গলায় বলে হ্যা। কিন্তু কিছু বলতে পারেনা ৫ মিনিটের মতো দাঁড়িয়ে থাকে দুইজনে। কিন্তু রাতুলের শরীরের কম্পন বেড়েই চলছিল বেড়েই চলছিল। এর মধ্যেই ক্লাস টিচার চলে এসেছিল তাই সেইবার আর রাতুলের কিছু বলা হয়ে উঠেনি। স্কুল শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে সুনন্দা রাতুলকে জিজ্ঞেস করে তুই নন্দীনিএ পছন্দ করিস। রাতুল বলে হ্যা। রাতুল সুনন্দাকে বলে আমার সাথে একবার কথা বলিয়ে দিতে পারবি নন্দীনির? আচ্ছা কালকে তো স্কুল ছুটি পরশু নন্দীনিকে বলব। পরেরদিন সাপ্তাহিক শুটি ছিল। তাই স্কুল বন্ধ। যথারীতি একদিন পর স্কুল খুলল। সুনন্দা নন্দীনিকে বলল তুই জানিস রাতুল তোকে পছন্দ করে।
bangla romantic story |
love story bangla
নন্দীনিঃ হ্যা জানি। আমারও ভালো লাগে রাতুলকে।
সুনন্দাঃ তাহলে কেউ কিছু কাউকে বলছিস না কেন?
নন্দীনিঃ পরশু আমি রাতুলের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু সে তো কিছু বলতেই পারছেনা শুধু কাঁপছিল।
নতুন ভালোবাসার গল্প
বলে দুইজন একটু হাসলো। তারপর সুনন্দা বলল রাতুল তোকে আজকে কিছু বলতে চায়। ছুটির পর দেখা করতে পারবি? নন্দীনি সম্মতি জানায়। তারপর যাথারীতি টিফিনের সময় সুনন্দা ছুটির পর রাতুলকে অপেক্ষা করতে বলে। স্কুল ছুটির পর রাতুল যথারীতি অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু যখন নন্দীনি আসে তখন সে আগের দিনের মতো কাপতে শুরু করে। নন্দীনি জিজ্ঞেস করে কি বলবে? রাতুল আরো জোরে কাপতে থাকে এত কাপতে দেখে নন্দীনি রাতুলের হাতটা ধরে কিন্তু হাত ধরার সাথে সাথেই রাতুল বেহুশ হয়ে যায়। এরপর সুনন্দা সুমন আর রাজেশকে ডাকে নন্দীনি। আর নন্দীনি চলে যায়। একটু পর রাতুলের জ্ঞান ফিরলে সুনন্দা রাজেশ আর সুমন রাতুলকে নিয়ে মজা করতে থাকে কিন্তু রাতুল লজ্জায় কিছু বলেনা। এইভাবেই চলে যায় আরো ২-৩মাস। দুইজন দুইজনের দিকে তাকাত কিন্তু বলা হয়ে উঠেনি কখনো আমি তোমাকে ভালোবাসি। কিন্তু দুইজনেই হয়তো নিজেদের জীবনের থেকে অনেক বেশি ভালোবাসতো দুইজনকে। কিছুটা পথা একসাথেও যেত বাড়িতে যাওয়ার সময়।রোমান্টিক গল্প অবশ্য সবসময়ই সাথে সুনন্দা থাকতো। কারণ সুনন্দা আর রাতুলের বাসা ছিল পাশাপাশি। যতটা পথ একসাথে থাকট নন্দীনি ২জনে লজ্জায় লাল হয়ে থাকতো। মাঝে মাঝে একে ওপরের দিকে মাঝে মাঝে তাকাতো। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারতোনা।romantic love story bangla এইভাবে গ্রীষ্মের ছুটি চলে আসলো। আজকের পর স্কুল ১মাস বন্ধ। প্রতিদিনের মতো আজকেও নন্দীনি কিছুটা পথ একসাথে যাওয়ার পর জিজ্ঞেস করে আজকে কিছু বলবে। রাতুল কিছু বলেনা। নন্দীনি চলে যায় তার বাড়ীর পথে। কিছু মুহূর্ত পর রাতুল সাইকেল ঘুরায় যায় নন্দীনির বাড়ির দিকে। পথে নন্দীনির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর কলমের কিছুটা কালী ছুড়ে দেয় নন্দীনির জামার এক অংশে। তারপর বলে এই একমাস এইটা আমাকে মনে করাবে। বলে সাইকেল ঘুরিয়ে আবার বাড়ির পথে রওনা দেয় রাতুল। এরপর নন্দীনির যখনই রাতুলের কথা মনে পড়তো সেই স্কুল্ড্রেস দেখতো। এইভাবে আবার স্কুল খুলার সময় চলে আসে নন্দীনি অনেক খুশি। অনেকটা আনন্দ নিয়েই স্কুল শুরুর ২ ঘন্টা আগেই স্কুলে যায়। কিন্তু গিয়ে দেখে রাতুল আসেনি। সে রাতুলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু রাতুল আসেনা। ক্লাস শুরু হয়ে যায় কিন্তু রাতুল আসেনা। ক্লাস শেষে নন্দীনি সুনন্দার কাছে নন্দীনি রাতুলের ব্যাপারে জানতে চায়। কিন্তু সুনন্দাও কিছু বলতে পারেনা। সে পরেরদিন জানাতে চায়। নন্দীনির সারাদিন কাটে দিশ্চিন্তায়। পরেরদিনও নন্দীনি অনেক আগে স্কুলে যায় কিন্তু সেইদিনও রাতুল আসেনা। পরে সুনন্দারকাছে জানতে পারে রাতুলের বাবার অনেক ঋন ছিল। ঋন শোধ করতে না পেরে রাতুলের বাবা সব জমিজমা বিক্রি করে সবাই গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেছে। এইটা শুনার পর বেশ কয়েকদিন নন্দীনি কেদেছিল। ঠিকমতো খায়ওনি। অসুস্থও হয়ে গেছিল অনেকটা।যার জন্য নন্দীনির এক বছর পড়াশুনা থেকে অব্যাহতি নিতে হয়েছিল। পরে ডাক্তার দেখিয়ে অনেক চিকিৎসার পর সেরে উঠেছিল। তার ১৫ বছর পর আজকে দুজনের দেখা। romantic love story in bengalivalobasar golpo |
keyword:love story bangla,romantic love story bangla,bangla love story,valobasar golpo,valobashar koster golpo bangla,valobasar golpo bangla,bangla romantic story,romantic love story in bengali,রোমান্টিক গল্প
যাইহোক বর্তমানে ফেরা যাক, এইভাবে অনেক আবেগ আর স্মৃতি নিয়ে প্রোগ্রাম শেষ হল। ভোরে আবার নন্দীনির ফ্লাইট। এত রাতে কিছু পাচ্ছিলও না। bangla love story আর হঠাত সুনন্দার জরুরী ফোন আসায় রাতুলকেই বলে নন্দীনিকে পৌছে দিতে। তবে সুনন্দা একটু সন্দেহ করছিল দুইজনকে তাই বলে রাতুলকে বলে নন্দীনিকে নামিয়ে দিয়েই যেন চলে যায় নিজের হোটেলে আর তারপর যেন সুনন্দাকে ফোন দিয়ে জানায় ঠিক মতো পৌছাল কিনা। রাতুল নন্দীনিকে নামিয়ে দিতে যায়। যাওয়ার সময় নন্দীনি রাতুলকে জিজ্ঞেস করে সেইদিন চলে গিয়ে কেন আর ফিরে আসেনি। রাতুল ১ম এ কিছু না বললেও পরে বলে আমি তোমার সব খবর রাখতাম।তোমার কলেজে আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। আমি তোমার বিয়েতেও গিয়েছি। তখন সুনন্দা আবেগঘন কন্ঠে জিজ্ঞেস করে তাহলে কেন তুমি আমার সামনে আসোনি? রাতুল এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু নন্দীনির চাপে পড়ে বলে। একবার রাতুল তার কলেজের সামনে গিয়ে নন্দীনিকে ডাকার জন্য একটা মেয়েকে হাতে একটা চিঠি দিয়ে পাঠায়। কিন্তু মেয়েটি আমাকে এসে বলে তুমি তাকে অপমান করেছ আর আমি তোমাকে ডিস্টার্ব করতাম। তাই আর তোমার সামনে যায়নি। নন্দীনির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। নন্দীনি জিজ্ঞেস করে আমি কি কলেজের বারান্ডায় দাড়িয়েছিলাম?রাতুলঃ হ্যা। bangla love story
নন্দীনিঃ হায় ভগবান!! এটা আমি কি করেছি!!
রাতুলঃ কি হয়েছে?
নন্দীনিঃ আমাকে একটা ছেলে ডীস্টার্ব করত। প্রতিদিন বাইক নিয়ে দাড়ীয়ে থাকতো আমার জন্য কলেজের গেটের সামনে। আর প্রতিদিন কাউকে না কাউকে পাঠাতো। কিন্তু চিঠি দেয়নি কখনো। সেইদিন চিঠি দেওয়ায় আমি রাগে সেটা ছিড়ে ফেলি আর অনেক বাজে কথা শুনাই ওই মেয়েকে। এটা বলে নন্দীনি কাঁদতে আরম্ভ করে।
আরো পড়ুন
*ভালোবাসার গল্প শেষ চিঠি
love story bangla
রাতুল একটু হেসে বলে যার কপালে যে নেই তাকে কিভাবে পাব। এরপর একটি টিস্যু এগিয়ে দেয় রাতুল। নন্দীনি চোখ মুছে জিজ্ঞেস করে বিয়ে করেছো?রাতুল জবাব দেয় না। এই কথা শেষ হতে না হতেই রাতুল নন্দীনির হোটেলে পৌছে যায়। তাকে নামিয়ে দেয়। আর সুনন্দাকে ফোণ দিয়ে জানিয়ে দেয় নন্দীনিকে হোটেলে নামিয়ে দিয়েছে। সুনন্দাও নিশ্চিন্ত হয় কিছুটা।romantic love story bangla নতুন ভালোবাসার গল্প
তারপরও সে নন্দীনিকে ফোন দিয়ে কোন অসুবিধে হইয়েছে কিনা এইসব জিজ্ঞেস করে আর সাবধানে সিঙ্গাপুর পৌছে জানাতে বলে ফোন কেটে দেয়। সকাল ৫ টায় সিঙ্গাপুরের ফ্লাইট নন্দীনির। love story bangla এখন ১২ টা বাজে। হঠাত নন্দীনি আবার হোটেল থেকে বের হয়ে রাতুলকে বলে গাড়ি থামাতে। বলে আজকে যতক্ষন আছে দেশে সেই সময়টুকু যেন দুইজনে একসাথে কাটায় এই রিকুয়েস্ট করে নন্দীনি। রাতুল রাজি হয়। নন্দীনি তখন বলে চল চা খেয়ে আসি। romantic love story bangla দুইজনে গাড়ি নিয়ে বের হয়। পাশেই একটা টং খোলা দেখে গাড়ি দাড় করায় এরপর দুইজনে গল্প করে। একপর্যায়ে নন্দীনি রাতুলকে জিজ্ঞেস করে কোন গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা। রাতুল মুচকি হেসে মাথা নাড়িয়ে জানায় না। এরপর প্রায় একঘন্টা গল্প করে হোটেলে ফিরে যায় দুজনে। নন্দীনি বলে সেইদিন আমি চিঠিটা খুলে দেখলে আজকের জীবনটা অন্যরকমও হতে পারতো বলে কেঁদে দেয়। রাতুল কিছু বলেনা। এইভাবে কিচ্ছুক্ষণ থাকার পর দুইজনে আরো গল্প করে। নন্দীনি রাতুলকে প্রমিস করিয়ে নেয় সে খুব শীঘ্রই বিয়ে করবে। এইভাবে কখন যে সাড়ে চারটা বেজে গেল টেরই পেলোনা। নন্দীনিকে এখন বেরোতে হবে। ৫ টায় ফ্লাইট। নন্দীনি রাতুলকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এগিয়ে দিতে বলল। রাতুল রাজি হল। love story banglavalobashar koster golpo bangla |
romantic love story bangla
সেখানে গিয়ে হাসিমুখেই দুইজনে কথা বলে দুইজনকে বিদায় দিল। কিন্তু মনের মধ্যে রেখে গেল একটা ছোট্টভুলের সারাজীবনের না পাওয়ার বেদনা। দুইজনেই এরপর অনেক কেদেছিল। কিন্তু কেউ কাউকে বুঝতে দেয়নি।রোমান্টিক গল্প এরপর তারা যদিও মাঝে মাঝে খোজ খবর নিতো একে অপরের কিন্তু আর কখনো তাদের দেখা হয়নি। রাতুল বিয়ে করার প্রমিস করলেও শেষ পর্যন্ত আর বিয়ে করেনা। স্কুলের সেই স্মৃতিটুকুকেই ভালোবেসে জীবন পার করে দেয়। এইভাবেই শেষ হয় একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প। গল্পটা একটূ অন্য রকমও হতে পারতো যদি নন্দীনি সেইদিন চিঠিটা পড়তো। romantic love story in bengali হয়তো আজকে নন্দীনি আর রাতুল সবচেয়ে সাক্সেস লাভ কাপুল হত। যাইহোক অনেক কিছুই হতে পারতো কিন্তু বাস্তবতা বেদনাদায়ক।আরো পড়ুন
*ভালোবাসার গল্প শেষ চিঠি
নতুন ভালোবাসার গল্প
0 Comments